মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন

নড়াইলে ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি:: নড়াইলে কালিয়ায় মুজিব বর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালিয়া পৌর শহরের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার থান্দার তাঁর ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাযোশে দুর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে মর্মে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দফতরে অনুলিপিও প্রেরণ করেছেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, কালিয়া উপজেলায় মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ‘বীর নিবাস’ ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রথম কিস্তিতে ১১টি ভবনের বিপরীতে ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭’শ ৯৮টাকা এবং একই অর্থ বছরে ২য় কিস্তি ৯০টা ভবনের বিপরীতে ১২ কোটি ৬৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩’শ ৮০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কালিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সর্বমোট ১০১টি ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ হচ্ছে। তবে তার মধ্যে একটি ‘বীর নিবাসের’ কাজ জমি নির্ধারণ জটিলতার কারণে বন্ধ রয়েছে। কালিয়া পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনের লিখিত দরখস্তে ‘বীর নিবাস’ গুলো কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরিন জাহান এর তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে।
অপরদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের (পিআইও) আবুল কালাম মিয়াজী ওই ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ কাজে তদারকি করছেন। মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার থান্দার পিআইওকে তাঁর অফিসে গিয়ে কাজের গুনগত মান খারাপ বা সিডিউল মোতাবেক ঠিকাদার করছেন না বলে বারবার বলা সত্বেও রহস্যজনক কারণে তিনি তা কর্ণপাত করেননি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার থান্দারসহ অধিকাংশ ‘বীর নিবাস’ মির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে জানা যায়, ইতোমধ্যে ৪০টা ‘বীর নিবাস’ ৯৫% এবং বাকীগুলো ৭৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া তাঁর লিখিত অভিযোগে আরও দেখা যায়, কালিয়া উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম বরাবাব বিদ্যুৎ সংযোগ চেয়ে গত ২০২২সালের ২০অক্টোবর আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে ‘বীর নিবাসে’ অদ্যাবধি তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ দেননি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল কালাম মিয়াজী বলেন, ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে আমরা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে আছি। আমি (পিআইও), মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রকৌশলী এবং ইউএনও’র ‘বীর নিবাস’ পরিদর্শন ও চুড়ান্ত প্রতিবেদনের পর চুড়ান্ত বিল অনুমোদন হবে। ৭ ফেব্রুয়ারীর আমার দফতরের ৫০নং স্মারকে ঠিকাদারদের বিষয়টি অবগত বা সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরিন জাহান বলেন, ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে অনিয়ম তদন্তে প্রমানিত হলে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com